1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

“রাঙ্গাঁউটি রিসোর্টঃ সেকাল থেকে একালের ইতি কথাঃ স্মৃতি কথাঃ কি চমৎকার দেখা গেল

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১
  • ৯১০ বার পঠিত

: মুজিবুর রহমান মুজিব:

শিরোনামের জন্য শুরুতেই ষাটের দশকের প্রথম ভাগে ঐতিহ্যবাহী এম.সি.কলেজে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষা গুরু, সরকারের সাবেক সফল সচিব, সাবেক হাই কমিশনার কবি ও কলামিষ্ট কথাও বাক্যের যাদুগর এ.এইচ,মোফাজ্জল করিমের কাছে ঋণ স্বীকার করছি, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আধুনিক বাংলা ভাষাও সাহিত্যের শক্তিমান জীবন ঘনিষ্ট কবি মোফাজ্জল করিম একজন প্রতিভাবান গদ্য শিল্পীও বটেন। তাঁর আত্ব জৈবনিক মহাকাব্য সোনালী সকাল দূরন্ত দূপুর নাম দিয়ে গদ্য গ্রহ্ণ প্রকাশ শুরু করে আধুনিক গদ্য সাহিত্যের ভূবনে আলোড়ন সৃষ্টি করেন-বাজিমাত করেন। দেশের অন্যতম প্রধান কবি হিসাবে তাঁর গদ্য ও গ্রহ্ণাবলির নামাকরনে একটি পদ্যময় ভাব ও মাধুর্য্য পরিলক্ষিত হয়। সেই ষাটের দশকে তাঁর ছাত্র ছিলাম, এখন আমারই পড়ন্ত বেলা ও জীবন সায়াহ্ণে তার প্রিয় ছাত্র-মিত্র ও পাত্র আছি। আমি তার একজন নগন্য পাঠক ও বটে। আমার লেখক ও পাঠ কি জীবনের চরম সৌভাগ্য ও পরম পাওয়া এই যে, আমি তাঁর সদয় অনুমতি ও দোয়া সহ তাঁর গ্রহ্ণের বুক রিভিউ করেছি, মোড়ক উম্মোচনানুষ্ঠানে দু’কথা বলার মহাসুযোগ লাভ করে ধন্য হয়েছি।
সাধারন্যে আনমনু হিসাবে পরিচিত ওয়াপদার সুইচ গেইট লেইক একটি নয়নাভিরাম অপূর্ব জলাশয়। আশির দশকে জলাশয়াটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের

নিকট থেকে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ প্রকল্পের আওতায় আনেন অবসর প্রাপ্ত মেজর, বুয়েটের চৌকশ ইঞ্জিনিয়ার কর্ম বীর খালেদুর রহমান। মেজর খালেদ হিসাবে সুপরিচিত বাহার মর্দনি খালেদ ভাই আমার বয়োঃজ্যেষ্ট, সুপরিচিতও সু-সম্পর্ক যুক্ত। অসম্ভব রকমের সত্যবাদি, ষ্পষ্টবাদি ও সহজ সরল সাদা মনের সৎ মানুষ মহৎ মানুষ মেজর খালেদ আমাকে অনুজের মত ¯েœহ-মমতা করেন। সরাসরি কোন সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত না থাকলে ও মেজর ইঞ্জিনিয়ার খালেদুর রহমান (অবঃ) রাজনীতি কিংবা গণ
¬
বিরোধী ছিলেন না, বরং ছিলেন একজন রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক-একজন প্রগতিশীল গণমুখী ব্যক্তি। সাধারন মানুষের জন্য ছিল তার অপরিসিম অফুরন্ত ভালোবাসা। গণ দাবীর প্রেক্ষিতে কোন দলীয় মনোনয়ন কিংবা সমর্থন না নিয়ে তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে ও আমি তাকে একান্ত কাছে থেকেই দেখেছি কারণ আমি ছিলাম মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা-প্রতিনিধি সদস্য। মেজর খালেদের জ্যৈষ্ট ভ্রাতা ডক্টর খলিলুর রহমান ও ছিলেন একজন জ্ঞান তাপস সৎ ও আদর্শ অধ্যাপক। শাবিপ্রবি থেকে অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহণ করে এখন গ্রামের বাড়ি বাহার মর্দানে অবসর জীবন যাপন করছেন ডক্টর খলিল। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে মেজর খালেদ ও এখন অসুস্থাবস্থায় গ্রামের বাড়ী বাহার মর্দানে কাল কাটাচ্ছেন। দু’ভাইয়ের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।

জন্মগত ভাবে হাওর পাড় এবং গ্রামের ছেলে হিসাবে মাছ ধরার প্রতি আমার একটি শখ ছিল, এখনও আছে। বাল্য কৈশোরের সেই দুরন্ত দিন গুলিতে সদর উপজেলাধীন রসুলপুর মিয়ার বাড়ীর এই বেপরোওয়া আমি গ্রামকে গ্রাম হাওর দাপড়িয়ে বেড়াতাম-মাছ ধরতাম। পাখির বাসা ভাঙ্গঁতাম। সেই ক্কাফ্ফারা হিসাবে অবশ্য এখন আমি পাখির বাসা কলস-বেঁধে দেই-সকাল সন্ধ্যা-খাবার বিতরন করি।

আশির দশকের দিকে সুুইচ গেইট লেইকের মেজর সাহেবের ফিশারি স্থানীয় ভাবে নাম ডাক কামায়। বেরির হুগা মাছ হিসাবে পরিচিত চাপিলা মাছ খুবই সুস্বাদুও মুখরোচক। খালেদ ভাই মাছ ধরিয়ে জেলা সদরস্থ পশ্চিম বাজারের মাছ বাজারে সরবরাহ করতেন, তুক্কার মুখেই মেজর সাহেবের ফিশারির মাছ শেষ হয়ে যেত। উচ্চ শিক্ষিত পরিশ্রমী মেজর খালেদ মালকুচা দিয়ে লুঙ্গী পিন্দে মাথায় গামছা বেঁধে নিজেই মাছ মারতেন। প্রায়ই আমি তাঁর সঙ্গেঁ থাকতাম। সবচাইতে উপভোগ্য ও ঝুকিপূর্ণ ছিল রাত্রে আলোয়া শিকার করা। তখন বৈদ্যতিক বাতি শান বাধানো ঘাট ছিল না। আধার রাতে পেট্টমাক্স জ্বালিয়ে নৌকার গলুই-এ-কোচা হাতে মেজর খালেদ পাশে আমি, পেট্টমাক্সের উজ্জল আলোতে বড় বড় মাছ আলোমুখী হয়ে নৌকার পাশে আসলেই খালেদ ভাইর ডান হাতের কোচা ঝপাং করে মাছের পালের উপরে। সম্ভবতঃ আলো থেকে-আলোয়া-শিকার নামকরন হয়েছে। আমার ছেলে বেলায় কামলাদের সঙ্গেঁ আমি কাউয়া দিঘির হাওরে আলোয়া শিকার করেছি। বিশাল লেইকে বিষধর সাপদের অবাধ বিচরন, আমাদেরকে আক্রমন করতে পারত। লেইকের পারে গভীর অন্ধকার ঝুপ ঝাড় জঙ্গল, পেরত-পেতিœর আবাসস্থল। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত আধুনিক মনমানষিকতার মানুষ হলেও আমার ভূত-প্রেতের প্রতি ভয় ভীতি ছিল। খালেদ ভাই ভূত প্রেতে বিশ্বাস করতেন না, বলতেন মানুষের ভয়ে ভূত প্রেত ভেগে গেছে। আমরা অবশ্য কোনদিন ভূত প্রেত কিংবা সাপের আক্রমনের সম্মুখীন হই নি। খালেদ ভাই বয়োঃবৃদ্ধি ও অসুস্থতার কারনে মৎস্য খামারটি পরবর্তী কালে চালান নি।

বেঙ্গঁল-গ্রæপ এর প্রতিষ্ঠাতা-শতকরা একশত ভাগ হালাল ব্যবসায়ী বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ধর্ম ও সমাজ সেবক আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) প্রেমে ফানাফিল্লাহ আলহাজ্ব সৈয়দ ফারুক আহমদ আমার বাল্য বন্ধু-প্রিয় সহপাঠি। এই পরিণত বয়সে ঈমানে-আমলে-ছুন্নতে-মেহনতে এই ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের বন্ধন অধিকতর মজবুত হয়েছে। আলহাজ্ব সৈয়দ ফারুক আহমদ এর সু-পুত্র-বাপকা বেটা সৈয়দ রিমনই এখন পৈত্রিক ব্যবসা বাণিজ্য দেখভাল করে। কমিউনিটি সেন্টারে পথ প্রদর্শক বেঙ্গঁল কনভেনশন সেন্টার এখন বিশাল আকার ধারন করে সংস্কার হচ্ছে। স্ব্যাস্থ ও চিকিৎসা সেবায়ও এগিয়ে এসেছেন বেঙ্গঁল কতৃপক্ষ শ্রীমঙ্গঁল সড়কস্থ অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক সেন্টার লাইফ লাইন হাসপাতাল ইতি মধ্যে মানসম্মত উন্নত চিকিৎসা সেবাও আন্তরিকতায় খ্যাতি অর্জন করেছে।

সৈয়দ রিমন তার সহযোগি অংশীদার গণকে নিয়ে সুইচ গেইট লেইকে গড়ে তুলেছেন আকর্ষনীয় রাঙ্গাউটি রিসোর্ট ঝলমলে বাহারি বৈদ্যুতিক বাতি, শান বাধানোঘাট, রেষ্টুরেন্ট, কার পার্কিং, মসজিদ, স্পীড বউট সহ দৃষ্টি নন্দন স্থাপনার রাঙ্গাউটি রিসোর্ট-এখন আকর্ষনীয় পর্য্যটন কেন্দ্র। শহরে প্রয়োজনীয় কমিউিনিটি সেন্টার না থাকার কারনে শহর তলির রাঙ্গাউটি রিসোর্ট এখন বিয়েশাদি, সামাজিক অনুষ্ঠানাদির আকর্ষনীয় ও নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র। উন্নত যোগাযোগ রিসোর্ট কর্মিদের সাদর সম্ভাসন বিন¤্র আপ্যায়ন মানসম্মত টাটকা খাবার অতিথিদের মন কেড়েছে। জলাশয় এর জলে শিশু কিশোরদের-নর-নারীর আনন্দ উচ্ছাস-জলকেলি সবারই উপভোগ্য বটে। বিশাল লেইকের প্রাকৃতিক মৎস্য খামার এর মাছ খুবই সুস্বাদু, মুখরোচক।

প্রসঙ্গঁত উল্লেখযোগ্য জেলার সৌখিন মৎস্য শিকারিদের মধ্যে পৌর কমিশনার জালাল আহমদ, অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল হান্নান এর নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। বড়শি দিয়ে সৌখিন মৎস্য শিকারিদের মধ্যে আলহাজ্ব মৌলানা আমিনুল বাহার জামালি, বিশিষ্ট স্বর্গীয় বীমাবিদ দিলিপ কুমার রায় এবং শাহ মোস্তফা সড়ক নিবাসি অনুজ প্রতিম ফারুক আহম আর আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই। তাদের রুহের মাগফিরাত, আত্বার শান্তি ও সদগতি কামনা করছি।

¯েœহভাজন সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু প্রিয় বরেষু সম্প্রতি এক সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তাঁদের মালিকানাধীন এই লেইকে সকাল সন্ধ্যা বড়শি দিয়ে মাছ ধরা এবং দুপুরে রাঙ্গাঁউটি রিসোর্টে লাঞ্চ এর দাওয়াত দিলেন। বিনয়ের অবতার ¯েœহভাজন চুন্নুর আন্তরিক দাওয়াত আনন্দ চিত্তে গ্রহণ করলাম, একদিন সকাল সন্ধ্যা তাঁর সঙ্গেঁই কাটালাম। উন্নয়নবিদ ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের মতে “ডেভলাপমেন্ট-ইজ-এ-কন্টিনিউয়াস প্রসেস”। মানব সভ্যতার ইতিহাস ক্রমবিকাশও বিবর্তনের ইতিহাস। বিকাশ বিবর্তনের মাধ্যমে আদি গুহা মানব থেকে আধুনিক মানব সভ্যতা ও মানব জাতির এই অবস্থান।

আশির দশকের মেজর খালেদ সাহেব এর মাছ মারার খালটি এখন রুপে রং এ সাজে সজ্জায় একটি আকর্ষনীয় লেইক পর্য্যটন কেন্দ্র। লেইকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি, বিকেলে স্পীড বোট এর জলকেলি সন্ধ্যানামার সাথে সাথে আলো ঝল মল বৈদ্যোতিক বাতি, খোলা আকাশের নীচে সবুজের সমারোহ ও অপরূপ প্রাকৃতিক নিসর্গ ভ্রমন পিপাসুদের মন ভরিয়ে দেয়। এখানে বে-আদব, বখাটে, বাউন্ডেলদের উপদ্রব নেই। এমন মনলোভা পরিবেশে মনের সুখে মাছ ধরা খুবই আনন্দ দায়ক ও মজাদার ব্যাপার। মাছ মারা গেলে, বৎসরান্তে সেরপুরের মাছের বাজার এলে বার বার আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। তিনি এখন রসুলপুর মিয়ার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে চীর শয়ানে। মাছের বাজারের বাঘ মাছ এবং হাওরের জিওল মাছ মায়ের খুবই প্রিয় ছিল। আমার মায়ের হাতের রান্নাও ছিল দারুন মজাদার। বাবার সেবা এবং মাকে মাছ মেরে খাওয়ানোর নসিবে নেই আমার। বাবা ইতিপূর্র্বেই চীর তরে নাফেরার দেশে। আমার নিজেরই এখন পড়ন্ত বেলা। মায়ের পায়ের নিচে আমার নিজের কবরের জায়গা ঠিক করে সাফ সুতরা করে রেখেছি। সৌখিন মৎস্য শিকারি কবি সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নুর সাথে একদিন সকাল সন্ধ্যা বড়শি সহ কাটিয়ে দেয়া আমার জন্য সুখকর ব্যাপার। ক্লাস ভর্ত্তি গরম কফি, বেঙ্গঁলের মজাদার ফ্রুটস কেক, রাঙ্গাউটি রিসোর্ট-এ-মজাদার খাবার দাবার হাতের কাছেই থাকায় লাঞ্চ-ইভিনিং কফি ও নাস্তার জন্য কোন চিন্তা করতে হল না। আমার শারীরিক বিড়ম্বনা, বেঙ্গাঁ এবং এট এটি মেট মেটির মাঝেও বিরক্ত ও বিব্রত রোধ করলাম না। সৈয়দ চুন্নু শুধু মাত্র আমার বয়োঃ কনিষ্টই নন আমার ছোট ভাইয়ের মত। চুন্নু নিজেও আমাকে তার বড় ভাইর মত ভক্তি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন, পরিশিলিত ভাবে কথা বলেন। আমি নেজও আমার স্বভাব সূলভ ভাব ভঙ্গীঁতে হা হা করে ছাদ কাঁপানো হাসি হাসতে পারি না, কথা বলতে হয় মেপে মেপে, তবুও দুই ভাই শৈল্পিক ভাবেই দিনটি উপভোগ করলাম। মনুর পারে চেপ চেপা পানিতে চেয়ারে বসেছি সারাদিন। জোহর-আছরের নামাজ আদায় করেছি পানি চেয়ারেই। মাছের-টোপ-তৈরীতেও সৈয়দ চুন্নু বেশ পারদর্শি। আম পিপড়ার ডিম, বেঙ্গঁলের পাউরুটি কিছু সুগন্ধি মাখিয়ে মাছের টোপ তৈরী করা হয়, ফলতঃ রাঙ্গাঁউটি রিসোর্ট সম্মুখস্থ লেকের মাছ গুলি আমাদেরকে যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করল, টোপ খেল, বড়শিতে ধরা দিল। জাতের মধ্যে রুই, তেলাপিয়া, মৃগেল, মাটি ভাংরি জাতীয় মাছ ছিল। অনুজ প্রতিম সৈয়দ মোসাহিদ জানেন আমার দুই নাতি মুমতাহিন ও মাহতির বিকাল হলেই বারান্দার সোফায় বসে থাকে। দাদা ও নানার ফিরার প্রতিক্ষায়, তাদের দু’জনের জন্যই কিছু নিতে হয়, বেড়ানোর জন্য বাহিরে নিয়ে যেতে হয়। সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু আমার দুই নাতির জন্য অনেক মাছ উপহার দিয়েছিলেন।

জেলা সদরের কাছাকাছি কুলাউড়া রোড-এ-রাঙ্গাঁউটি রিসোর্ট- জেলার পর্য্যটন শিল্পের নবতোর সংযোজন। পর্য্যটন শিল্পের বিকাশে রাঙ্গাউটি রিসোর্ট ইতিবাচক অবদান রাখছে- রাখবে। অপরূপ প্রাকৃতিক নিসর্গের মাঝে রাঙ্গাঁউটির রাঙ্গাঁ প্রভাত, দুরন্ত দূপুর মায়াবী বিকাল এবং সোনালি সন্ধ্যা দারুন উপভোগ্য। রসিক সুজন-সজনী আবেগ আপ্লুত হয়ে মনের সুখে গুণ গুণিয়ে উঠতে পারেন- “এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু”।
এতসব ঘটনার ঘন ঘটায় নিঃসন্দেহেই বলা চলে “কি চমৎকার দেখা গেল”।

[ষাটের দশকের সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা। আইনজীবী। কলামিষ্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..